[row]
[col span__sm=”12″]
[row_inner style=”collapse” col_style=”solid” v_align=”equal” h_align=”center”]
[col_inner span=”5″ span__sm=”12″]
[featured_box img=”61″ img_width=”431″ pos=”center”]
[/featured_box]
[/col_inner]
[col_inner span=”5″ span__sm=”12″]
[featured_box img_width=”431″ pos=”center”]
সামি আলহাজ
১৫ ফেব্রুয়ারী ১৯৬৯ সালে সুদানের খার্তুমে জন্ম নেয়া সামি আলহায কাতার ভিত্তিক বহুল পরিচিত গণমাধ্যম ‘আল জাজিরা’র সাংবাদিক। আফগানিস্তানে মার্কিন জোটের ভয়ংকর হামলার ফুটেজ তিনিই সর্বপ্রথম ধারন করেন এবং বিশ^বাসীর কাছে তুলে ধরেন। ২০০১ সালে সহকর্মীদের নিয়ে আফগানিস্তানে সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে যাত্রার সময় পাকিস্তান গোয়েন্দা বাহিনীর হাতে
[accordion]
[accordion-item title=”read more”]
হাতে আটক হন। এরপর তাকে আমেরিকার হাতে তুলে দেয়া হয়। তার বিরূদ্ধে আল কায়েদা প্রধান ওসামা বিন লাদেনের ভিডিও চিত্র সংগ্রহের অভিযোগ আনা হয় যদিও তিনি শুধু আল জাজিরার পক্ষে তৃণমূল সাংবাদিকতা ও ভিডিও চিত্র সংগ্রহের কাজ করছিলেন। আফগানিস্তানে দীর্ঘদিন বন্দি রেখে পরবর্তীতে তাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পরিচালিত কুখ্যাত গুয়ান্তানামো বে কারাগারে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তিনি ছয় বছর বন্দি ছিলেন।
ছয় বছর অবর্ণনীয় নির্যাতন আর সীমাহীন কষ্ট ভোগের পর ২০০৮ সালের পহেলা মে নিঃশর্ত মুক্তি লাভ করেন। ব্রিটিশ মানবাধিকার আইনজীবী ক্লাইভ স্টাফোর্ড স্মিথ আলহাযের পুরো বন্দি অবস্থায় আইনজীবী হিসেবে কাজ করেন। ক্লাইভ ২০০৫ সালে তার সাথে দেখা করার সুযোগ পান। স্টাফোর্ডের মতে সামি বন্দি অবস্থায় ভয়ংকর শারীরিক মানসিক নির্যাতন, যৌন নিপীড়ন এবং ধর্মীয় নিগ্রহের মুখোমুখি হন। বেধড়ক মারধরের কারণে মুখে দাগ বসে যায়। স্টাফোর্ড আরো জানান যে সামি নিজ চোখে আফগান সেনাঘাটিতে মার্কিন সেনাদের কুরআন টয়লেটে ছুড়ে ফেলতে দেখেছে। কুরআনের গায়ে অশ্লীল কথা লিখে রাখতে দেখেছে। ২৩ নভেম্বর ২০০৫ সালের এক জিজ্ঞাসাবাদে সামিকে মার্কিন কর্মকর্তারা জিজ্ঞেস করে আল জাজিরা আল কায়েদার অঙ্গসংগঠন কিনা।
২০০৭ সালের জানুয়ারিতে গুয়ান্তানামো কারাগারে মার্কিন সেনাদের বর্বর নির্যাতনের প্রতিবাদে অনশন শুরু করেন তিনি এবং আরো কয়েকজন সহকয়েদী। সেসময় তার ৫৫ পাউন্ড ওজন কমে যায়। অনশন ভাঙ্গাতে তাদেরকে জোর করে খাওয়ানো হতো। সে ফোর্স ফিডিং ছিল আরেক অত্যাচার। সামির অনশন চলে টানা ৪৩৮ দিন। তার মুক্তির দিন পর্যন্ত।
অভিজ্ঞতা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে সামি এখন আল জাজিরার প্রধান কার্যালয়ে ‘পাবলিক লিবার্টিজ এন্ড হিউম্যান রাইটস’ বিভাগের পরিচালক হিসেবে কাজ করছেন। যেখানে তার কাজ হলো মানবাধিকার সংক্রান্ত, যৌন নিপীড়নমূলক সংবাদের তদারকি করা এবং সে সংবাদগুলোকে টিভির পর্দায় নিয়ে আসতে কিংবা মানবাধিকার সংগঠনগুলোর কাছে পৌছতে যাবতীয় এন্তেজাম করা।
সামি আলহাজ সাংবাদিকতায় AIB INSI Special Award এবং Reporter of the year Viareggio পদক পান।
[/accordion-item]
[/accordion]
[/featured_box]
[/col_inner]
[/row_inner]
[/col]
[col span=”7″ span__sm=”12″ padding=”5% 5% 5% 5%” max_width=”520px”]
[ux_product_flip ids=”39″]
[/col]
[/row]